Tuesday, February 14, 2023

মোনাজাত-২

 


অজানা শহীদ সমাধীতে (ইবিআরসি) শ্রদ্ধারঞ্জলির সময় দু‘আ
الحمد لله رب العالمين-ٌ والعاقبة للمتقين-ٌ والصلاة والسلام علي رسوله الكريم-ٌ وعلي اله واصحابه اجمعين-ٌ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿البقرة: ٢٠١﴾ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ﴿البقرة: ١٢٧﴾ وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ﴿البقرة: ١٢٨﴾ 
১। ইয়া ইলাহাল আলামিন! ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসংখ্য রিক্রুটসহ নাম না জানা যে সকল সেনাসদস্য শহীদ হয়ে এই সমাধিতে চির নিদ্রায় শায়িত রয়েছেন। তাদের সবাইকে আপনি মাফ করে দিন। সেই সাথে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদকে ক্ষমা করে দিন।

২। হে আল­াহ্! মহান স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত যে সকল বীর সেনাসদস্য (পার্বত্য চট্টগ্রামে, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে, পিল খানায় হত্যাযজ্ঞে এবং হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায়) শাহাদত বরণ করেছেন, সকলের আত্মত্যাগ আপনি কবুল করে নিন। শহীদগণের পরকালীন জীবনকে শান্তিময় করে দিন। তাঁদের ভুল ত্র“টি মাফ করে সকলকে চির শান্তির স্থান ‘জান্নতুল ফিরদাউস’ দান করুন।

৩। রাব্বাল আলামিন! দেশে, বিদেশে কর্মরত ও নিয়োজিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যগণের প্রতি রহমত দান করে তাদের জান-মাল, পরিবার-পরিজনের হিফাজত করুন।

৪। হে আল­াহ্! বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি দান করুন। বাংলাদেশকে একটি সুখি ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে কবুল করে নিন।

৫। আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন। আমিন
বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।


অজানা শহীদ সমাধীতে (ইবিআরসি) শ্রদ্ধারঞ্জলির সময় দু‘আ (মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা-২০১৪)

الحمد لله رب العالمين-ٌ والعاقبة للمتقين-ٌ والصلاة والسلام علي رسوله الكريم-ٌ وعلي اله واصحابه اجمعين-ٌ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿البقرة: ٢٠١﴾ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ﴿البقرة: ١٢٧﴾ وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ﴿البقرة: ١٢٨﴾
ইয়া ইলাহাল আলামিন! ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসংখ্য রিক্রুটসহ নাম না জানা যে সকল সেনাসদস্য শহীদ হয়ে এই সমাধিতে চির নিদ্রায় শায়িত রয়েছেন। তাদের সবাইকে আপনি মাফ করে দিন। সেই সাথে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদকে ক্ষমা করে দিন।
হে আল­াহ্! বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে মাফ করে দিন এবং সবাইকে জান্নাতুল ফিরদৌস নসীব করুন।

হে আল­াহ্! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত আছেন তাদের সবাইকে দেশ ও জাতির কল্যাণে আরো বেশী করে কাজ করার তৌফিক দিন। হে আল­াহ্ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের উপর আপনার খাস রহমত বর্ষণ করুন।

হে আল­াহ্! বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি দান করুন। বাংলাদেশকে একটি সুখি ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে কবুল করে নিন। আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন। আমিন!
বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।



১৬ ডিসেম্বর: ‘মহান বিজয় দিবস’ ২০..
সম্মানিত উপস্থিতি! আমরা জানি আজ ১৬ ডিসেম্বর ২০.. ইং। আজ ‘মহান বিজয় দিবস’ ২০.. ইং । ‘মহান বিজয় দিবস’, ১৬ ডিসে¤¦র বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের পরম আনন্দ, উৎসব ও গৌরবের দিন। আমাদের জাতীয় জীবনে এ দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল এ দেশের আপামর জনসাধারণ ও সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যগণ। বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং দীর্ঘ ০৯ (নয়) মাস ব্যাপি সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর, আল­াহ্ তা‘আলার মেহেরবানীতে দখলদান পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাজিত করে, প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্র“মুক্ত করে, এই দিনে চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ তাই বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম ঘটনা। মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় প্রাণের বিনিময়ে হলেও যে কোন ষড়যন্ত্র ও আক্রমন মোকাবেলার জন্যেও সেনাবাহিনীর সকল সদস্য সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। মহান এ দিনে আমরা সশ্রদ্ধচিত্তে স্বরণ করবো সেই সব অকুতোভয় বীর শহীদদের, যাদের সুমহান আতœত্যাগের বিনিময়ে আজকের দিনে বিজয় লাভ সম্ভব হয়েছিল এবং বিশ্বের ইতিহাসে স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র রূপে বাংলাদেশের অভ্যূদয় ঘটেছিল। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। তাদের সকলের রুহের মাগফিরাত ও চিরশান্তি কামনা এবং আমাদের দেশের শান্তি, অগ্রগতি, সম্মৃদ্ধি আর সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর অগ্রগতি সম্মৃদ্ধি ও একাত্বতা কামনা করে মহান আল­াহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে প্রার্থনা করবো।  এ উপলক্ষ্যে আজকের এই আয়োজিত বিশেষ দোয়ার অনুষ্ঠান। তাই আমরা এখন প্রত্যেকেই মনে মনে পাঠ করবোঃ

ক। সূরা ফাতিহা ০১ বার
খ। সূরা ইখলাস ০৩ বার
গ। দরুদ শরীফ ০১ বার


মোনাজাত
১।
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿البقرة: ٢٠١﴾
২। হে আল­াহ্, আমাদের তিলাওয়াত, দোয়া-মোনাজাত এবং নেক আমল সমূহ কবুল করুন। আমাদের কৃত নেক আমল সমূহের ছওয়াব বহুগুন বৃদ্ধি করে মহানবী (সাঃ) এর রওজা পাকে পৌছে দিন। যাদের আতœত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা সেই সব বীর শহীদদের আমলনামায় সওয়াব সমূহ পৌছে দিন।

৩। যারা স্বাধীনতার আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় শহীদ হয়েছেন তাদেরকে শহীদের পরিপূর্ণ মর্যাদা দান করুণ।

৪। শহীদগণের পরকালীন জীবনকে শান্তিময় করে দিন। তাঁদের ভুল ত্র“টি মাফ করে সকলকে চির শান্তির জান্নতুল ফিরদাউস দান করুন।

৫। হে দয়াময় আল­াহ্, শহীদ পরিবার এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের হেফাজত করুন। সকলকে সর্বদা উত্তম ধৈর্য্য ধারণ করার তওফিক দান করুন।

৬। শান্তি ও সহমর্মিতার জন্য যারা লড়াই করে বেচে আছেন তাদেরকে সুন্দর জীবন ও সু-সাস্থ্য দান করুণ।

৭। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে সার্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধি দান করুন এবং আমাদের দেশকে ও দেশবাসীকে হিফাজত করুন।

৮। ইয়া রহমানুর রহীম, দেশে-বিদেশে কর্মরত ও নিয়োজিত বাংলাদেশ সশˉ¿  বাহিনীর সকল সদস্যগণের জান-মালের হিফাজত করুন।

৯। মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় আমাদের সবাইকে শান্তির পরশে থেকে দেশ ও মাতৃকার সেবা করার তাওফীক দান করুণ।

১০। দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে জাতি গঠণ মূলক কাজে সর্বোপরি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সশস্ত্র বাহিনী যেন সুনাম ও যুগ্যোতার সাথে কাজ করতে পারে সেই তাওফিক দান করুণ।
আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন। আমিন
বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।


১৫ ফেব্র“য়ারী ‘টাইগার্স ডে’
আজ ১৫ ফেব্র“য়ারী ...(২০১৫)..সাল। বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে একটি গৌরব উজ্জল দিন। ১৯৪৮ সালের এই তারিখে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১ম ব্যাটালিয়ন সিনিয়র টাইগার এর প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতির পৃথক সামরিক সত্ত¡া দি ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের গোড়া পত্তন ঘটে। ঐতিহ্যবাহী এ রেজিমেন্টের আজ ..(৬৮)....তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।

দি ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উলে­খ করতে হলে বলতে হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দু’টি বাাঙ্গালী মুসলিম পাইওনিয়ার কোম্পানী নিয়ে মেজর গনির অফুরন্ত উদ্যোগে প্রথম এ রেজিমেন্টের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠনে পাকিস্তান সরকারের অনুমোদন লাভের পর মুসলিম পাইওনিয়ার কোম্পানী নং ১২৫৬ ও ১৪০৭ এর অধিনায়ক মেজর এম এ গনি এবং ক্যাপ্টেন এস ইউ খান, ১৯৪৭ সালে সেপ্টে¤¦র মাসে ঢাকার কুর্মিটোলায় একত্রিত হয়ে নিজেদের কোম্পানীদ্বয়কে পূর্ণ গঠিত করে মেজর গণির অধিনায়কত্তে¡ ১ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের গোড়া পত্তন করেন। পরবর্তিতে ১৯৪৮ সালের ১৫ ই ফেব্র“য়ারী এক অনাড়¤¦র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকার কুর্মিটোলা সেনানিবাসে তদানিন্তন পূর্ব বাংলার গভর্নর স্যার ফ্রেডরিক ১ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জন্ম ঘোষণা করেন। প্রথম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠা দিবসই ‘‘টাইগার্স ডে’’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

এ রেজিমেন্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্ববৃহৎ যোদ্ধা দল। এ রেজিমেন্টের রয়েছে গৌরব উজ্জল ইতিহাস। সমরে ও শান্তিতে এ রেজিমেন্টের সদস্যগণ কারো থেকে পিছিয়ে নেই।

১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে সবচেয়ে বেশী পদক প্রাপ্তির তুলনাহীন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল এ রেজিমেন্ট। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেও এ রেজিমেন্ট সাহসিকতা ও সাফল্যের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ রেজিমেন্টের অগনিত সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন। সাত বীর শ্রেষ্ঠের দুই জন লালন করছে এ রেজিমেন্ট। এ রেজিমেন্টের সদস্যবৃন্দ দেশের যে কোন প্রয়োজনে নিজেদেরকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত।

আমরা শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি এ রেজিমেন্টের সে সকল বীর যোদ্ধাদের যাদের অকুতোভয় প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগ এ রেজিমেন্টকে মহিমান্বিত করেছে। এখন আমরা এ রেজিমেন্টের সকল সদস্যের সুখ ও সমৃদ্ধি এবং উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে ও শহীদদের মাগফিরাত কামনা করে মহান প্রভুর দরবারে দু‘আ করবো।

তাই আমরা এখন প্রত্যেকেই মনে মনে পাঠ করবোঃ
ক। সূরা ফাতিহা ০১ বার
খ। সূরা ইখলাস ০৩ বার
গ। দরুদ শরীফ ০১ বার



মোনাজাত
১।
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿البقرة: ٢٠١﴾
২। হে আল­াহ্! আজ ১৫ ফেব্র“য়ারী .....তম টাইগার্স ডে। এ দিনে ফযর সালাতের পর আমাদের তিলাওয়াত, দোয়া-মোনাজাত এবং নেক আমল সমূহ কবুল করুন। আমাদের কৃত নেক আমল সমূহের ছওয়াব বহুগুন বৃদ্ধি করে মহানবী (সাঃ) এর রওজা পাকে পৌছে দিন।

রাব্বাল আলামীন! দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল টাইগার্স বাহিনী। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আপনার দয়ায় তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে, এ জন্য আমরা আপনার নিকট শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

ইয়া আল­াহ্! ভবিষ্যতে যাতে এই টাইগার্স বাহিনীর সকল সামরিক / অসামরিক সদস্য তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বগুলো সুষ্ঠ, সুন্দর, সুচারুভাবে এবং সম্মান, মর্যাদা, দক্ষতা, আমানত ও সাফল্যের সাথে সুসম্পন্ন করতে পারে সে তৌফিক দান করুন।

রাব্বাল আলামীন! মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বাহিনীর যে সব সদস্যগণ শাহাদাত বরণ করেছেন তাদেরকে মাফ করে দিন। তাদের আত্মতাগকে কবুল করে নিন, তাদেরকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন।

এ ছাড়াও বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যারা এর উন্নতি ও অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন, যাদের ত্যাগ, তিতিক্ষা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নতি লাভ করেছে। তাদের সবাইকে মাফ করে দিন। তাদের মহৎ উদ্যোগকে কবুল করে নিন।

তাদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তাদেরকে উন্নত জীবন দান করুন। বর্তমানে যারা বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত, নিয়োজিত আছেন তাদের জান-মাল, পরিবার-পরিজনদের হিফাজত করুন। তাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ রেজিমেন্টের উত্তরোত্তর উন্নতি দান করুন। প্রত্যেকের দায়িত্ব সততার সাথে পালন করার তৌফিক দান করুন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার তৌফিক দান করুন। যারা অসুস্থ আছেন তাদেরকে সুস্থতা দান করুন।

ইয়া আল­াহ্! এই বেঙ্গল রেজিমেন্টের জ্ঞান বিতরন পদ্ধতি এবং সকল কার্য পরিচালনা যেন বাংলাদেশ সেনাবহিনীর জন্য মাইল ফলক হয়ে থাকে সেই তৌফিক দান করুন। এর ব্যক্তি, বস্তু ও তথ্যের নিরাপত্তা যেন বিঘিœত না হয় সে ব্যবস্থা করে দিন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল নিয়ম কানুন বিশেষ করে পরস্পরের মাঝে হৃদ্যতা, মমতাবোধ ও একতার মনোবল নিয়ে আগত দিনের কর্মকান্ড সফলতার সহিত পালনের তৌফিক দান করুন।
বিগত দিনের ভাল কাজের গতি অব্যাহত রাখুন। যারা এ কাজে নেতৃত্ব দিয়ে পৃষ্টপোশকতা করছেন, তাদেরকে সঠিক পরিকল্পনা ও দূরদর্শী কলা-কৌশল গ্রহন করার তৌফিক দান করুন।

আমাদের দেশ ও জাতিকে একটি উন্নত দেশ ও জাতি হিসেবে পরিগণিত হওয়ার তৌফিক দান করুন।
আমাদের শারিরীক, মানসিক, সুস্থ্যতা। যাবতীয় ক্লান্তি, অবসাদ দূর। আমাদের সাহস, মনোবল বৃদ্ধি। যাবতীয় দূর্বলতা, ভিরুতা, অকল্যাণ, অমঙ্গল দূর। আমাদের পারদর্শীতা, উৎকর্ষতা, গতিশীলতা বৃদ্ধি। যাবতীয় বিপদাপদ, বালা-মসিবত, বাধা-বিপত্তি ও দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে হিফাযত করে দিন। আমাদের উপর আপনার খাছ রহমত নাযিল করে দিন। আমিন!!

১৬ ফেব্র“য়ারি ১৯৮৪ ইং জেনারেল এম এ জি ওসমানীর মৃত্যু বার্ষিকী
আজ ১৬ ই ফেব্র“য়ারি ২০.. সাল। বাংলাদেশের অকুতোভয় বীর সেনানী ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বাধিনায়ক জেনারেল মোহাম্মাদ আতাউল গনি ওসমানীর..... তম মৃত্যু বার্ষিকী।  এ দিনে আমরা তাকে স্বরন করে এই মহান ব্যক্তিত্বের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল­াহ্ তা‘আলার কাছে বিশেষ প্রার্থনা করবো।
 
বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ইন চীফ জেনারেল এম এ জি ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টে¤¦র সিলেটের বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৩৯ সালের ফেব্র“য়ারীতে তিনি ক্যাডেট হিসেবে ব্রিটিশ-ভারত সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। কৃতিত্বের সাথে প্রশিক্ষণ শেষ করে ১৯৪০ সালে কমিশন লাভ করেন। মেধা ও দক্ষতার গুনে ১৯৪১ সালে ক্যাপ্টেন এবং ১৯৪২ সালে মাত্র তেইশ বছর বয়সে তিনি মেজর পদবী লাভ করেন। তদানিন্তন বৃটিশ ভারতীয় সেনাবহিনীতে তিনিই ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ মেজর। বাঙ্গালী হয়ে এত অল্প বয়সে মেজর পদে পদোন্নতি তাকে বিশেষ মর্যাদা ও পরিচিতি প্রদান করে। মেজর পদে তিনি একটি যান্ত্রিক পরিবহন ব্যাটালিয়নের অধিনায়কত্ব করে এক গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টি করেন। ভারত বিভক্তির পর ১৯৪৭ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবহিনীতে লেঃ কর্ণেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

বৃটিশ-ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে একজন চৌকষ অফিসার হিসেবে তার খ্যাতি ছিল অসামান্য। যোগ্যতা ও কর্ম দক্ষতার বলে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন। স্বীয় কৃতিত্বের জন্য তিনি ১৯৫০ সালের ১৯ ফেব্র“য়ারী ইষ্ট বেংগল রেজিমেন্টের প্রথম বাঙ্গালী কমান্ড্যান্ট নিযুক্ত হবার গৌরব অর্জন করেন এবং ১৯৫৫ সালের ৬ জুন পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি কর্ণেন পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
জেনারেল ওসমানী বেঙ্গল রেজিমেন্টের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। পাকিস্তানি শাসক ও সামরিক চক্র বিভিন্ন ক‚ট-কৌশলে বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু জেনারেল ওসমানীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও পৃষ্টপোষকতায় বেঙ্গল রেজিমেন্ট উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়। তারই প্রচেষ্টায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাঙ্গালী সৈনিকের কোটা দুই থেকে দশ শতাংশে উন্নীত হয়। তার সময়ে বেঙ্গল রেজিমেন্টের ব্যাটালিয়নগুলির সংখ্যা দুই থেকে ছয় এ গিয়ে পৌঁছে।
তদানিন্তন কর্ণেল এম এ জি ওসমানী ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সেনাবহিনী হতে অবসর গ্রহণ করেন এবং অবসরে এসে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য (এম এন এ) হিসেবে নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হন। পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীদের উৎখাত করার জন্য তিনি ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলস এর বাঙ্গালী অফিসার ও সৈনিকদের নিয়ে তিনি একটি নিয়মিত বাহিনী গঠন করেন। বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি গেরিলা বাহিনীও তিনি গঠন করেন। অত্যন্ত দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে চৌকষ পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি মুক্তি বাহিনী ও গেরিলা বাহিনী পরিচালনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধে তার বীরত্ব ও কৃতিত্ব পূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭১ সালের ১৬ ই হিসে¤¦রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে পূর্ণাঙ্গ জেনারেল পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন। ০৭ এপ্রিল ১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসর গ্রহণ করেন।
দি ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাথে মরহুম জেনারেল ওসমানীর ছিল নিবিড় সম্পর্ক। অবসর জীবনেও তিনি এই রেজিমেন্টের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতেন। ১৯৮৪ সালে বার্ধক্য ও রোগাক্রান্ত হয়ে বেশকিছু দিন সি এম এইচ ঢাকা সেনানিবাসে চিকিৎসাধীন থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাঁকে লন্ডনের একটি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অবশেষে উক্ত হাসপাতালেই তিনি ১৯৮৪ সালের ১৬ ই ফেব্র“য়ারী তারিখে ৬৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে সিলেটে হযরত শাহ জালাল (রঃ)-এর মাজার প্রাঙ্গনে তাকে সমাহিত করা হয়।

সমগ্র দেশবাসি তথা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিকট জেনারেল ওসমানী ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। বিশেষ করে দি ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যদের নিকট তার পৃথক পরিচয় ও অবদানের ফলশ্র“তিতে তিনি বিশেষভাবে স¥রণীয় হয়ে রয়েছেন। আমরা সকলে তার আত্মার চির শান্তির জন্যে মহান আল­াহ্র নিকট বিশেষ প্রার্থনা করবো।

তাই আমরা এখন প্রত্যেকেই মনে মনে পাঠ করবোঃ
ক। সূরা ফাতিহা ০১ বার
খ। সূরা ইখলাস ০৩ বার
গ। দরুদ শরীফ ০১ বার



মোনাজাত
১।
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿البقرة: ٢٠١﴾
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ ﴿الأعراف: ٢٣﴾ 
২। হে আল­াহ্! ফযর সালাতের পর আমরা আপনার নিটক প্রার্থনা করছি। আমাদের নামায, তিলাওয়াত, দোয়া-মোনাজাত এবং নেক আমল সমূহ কবুল করুন। এ অসিলায় আমাদের সকলের জীবনের তামাম গুনাহ গুলো মাফ করে দিন। এর যা সাওয়াব হয় তা অসংখ্য গুণ বৃদ্ধি করে দিয়ে আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ)-এর আরওয়াহ মোবারকে পৌছিয়ে দিন।

৩। তামাম বিশ্বের যত মুমিন-মুমিনাত ইন্তেকাল করেছেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যত সদস্য শাহাদত বরণ করেছেন সকলের আরওয়াহ মোবারকে এর সাওয়াব পৌছিয়ে দিন। বিশেষ করে আমাদের সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি ও ১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী রুহের উপর এর সওয়াব পৌছিয়ে দিন।

৪। ইয়া রাব্বাল আলামীন ! আজকের এ দিবসে আমরা পরম শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি এবং আপনার নিকট তাঁর আতœার মাগফেরাত ও সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনা করছি। মেহেরবাণী করে তার জীবনের যাবতীয় ভূল- ত্র“টি মাফ করে শাহাদাতের পরিপূর্ণ মর্যাদা দান করুণ। তার জীবনের সকল গুনাহ গুলো মাফ করে দিন। কিয়ামত পর্যন্ত কবর আযাব মাফ করে দিন। অন্ধকার কবরকে দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত প্রশস্ত করে দিন। অন্ধকার কবরকে ঈমানী নূরে আলোকিত করে দিন। তার কবরকে জান্নাতের টুকরায় পরিণত করে দিন। বিনা হিসাবে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করে দিন। তার পরকালীন জীবনকে শান্তিময় করে দিন।

৫। হে আল­াহ ! তাদের ত্যাগ ও প্রচেষ্টায় আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষুন্ন রাখুন। এ প্রিয় জন্মভূমির ভালবাসায় এবং স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার জন্য সবাইকে শান্তির পরশে থেকে দেশের কল্যাণার্থে এক যোগে কাজ করার তৌফিক দান করুণ।

৬। ইয়া পরওয়ারদিগারে আলম ! তিনার পরিবারের সদস্যদেরকে উত্তম ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দান করে দিন। তিনার পরিবারের সকল সদস্যদেরকে حياة طيبة  ও সু-সাস্থ্য নসিব করে দিন। তিনার পরিবারের উপর আপনার খাছ রহমত, বরকত ও সাহায্য দান করুন। তাদেরকে যাবতীয় বিপদ, আপদ ও বালা-মসিবত থেকে হিফাযত করুণ। তাদেরকে সম্মানজনক জীবন-জীবিকা দান করুণ।

হে আল­াহ্ আমাদের ভুল ত্র“টি মাফ করে দিন। আপনার সুন্দর সুন্দর নামের অসিলায় আমাদের আজকের দোয়া ও মোনাজাতকে কবুল আর মুঞ্জুর করে নিন।

رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ﴿البقرة: ١٢٧﴾ وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ﴿البقرة: ١٢٨﴾
رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا﴿الإسراء: ٢٤﴾

২১ শে ফেব্র“য়ারী “ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস”
আজ ২১ ফেব্র“য়ারী ......সাল, আজ “ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস”। বাঙ্গালী জাতীর ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্বরণীয় দিন ২১ শে ফেব্র“য়ারী। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের রক্তে রাঙ্গা এ দিন। এ দিনে আমারা স্মরণ করি জাতির সেই বীর সন্তানদের যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন।

ঐতিহাসিক পটভ‚মিঃ
১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট ভারত বিভক্তির মাধ্যমে পূর্ব (বর্তমান বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তানি শাসকরা আমাদের বাংলাভাষীদের উপর বিদেশী ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়। (অথচ উর্দু ভাষা পাকিস্তানের কোন এলাকার মাতৃভাষা ছিল না। বরং উর্দু ভাষা ছিল দিল­ীর মুসলিম শাসকদের আরবী, ফার্সি, তুর্কি এবং স্থানীয় বিভিন্ন ভাষার সংমিশ্রন।)

১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারের মিঃ জিন্নাহ ঢাকায় আসেন। তিনি রমনা রেসকোর্স মাঠে এক জন সভায় ঘোষনা করেন করেন, "টৎফঁ ধহফ টৎফঁ ংযধষষ নব ঃযব ড়হষু ংঃধঃব ষধহমঁধমব ড়ভ চধশরংঃধহ" অর্থাৎ পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হবে একমাত্র উর্দু। এ ঘোাষনায় বাংলার মানুষ সে দিন তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তারা উচ্চ কণ্ঠে বলে এটা কেউ মেনে নিবো না, কারণ তৎকালীন পাকিস্তানের দুই-তৃতীয়াংশ অধিবাসী পূর্ববাংলার। তাদের মাতৃভাষা বাংলা।

১৯৫২ সালে এর চুড়ান্ত রূপ প্রকাশিত হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর খাজা নাজিম উদ্দিন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে ঘোষণা করেন, ‘‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’’ এখবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ছাত্র-শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক সকলেই এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। সরকার আন্দোলন দমন করার জন্য রাস্তায় সৈণ্য মোতায়েন করে ও ১৪৪ ধারা জারি করে। ফলে ছাত্ররা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে শহীদ হয় রফিক উদ্দীন আহমদ, আব্দুল জব্বার, আবূল বরকত এবং আব্দুস সালাম সহ নাম না জানা আরো অনেকে এবং আরো অনেকে আহত হন। দীর্ঘ আপোসহীন সংগ্রাম এবং চরম আতœত্যাগের বিনিময়ে অবশেষে ১৯৫৬ সালে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলা ভাষার এ মর্যাদা আরও সুদৃঢ় ও তাৎপর্যময় হয়ে ওঠে। ২১ শে ফেব্র“য়ারী এখন শুধু বাংলাদেশের ভাষা দিবস নয় বরং সারা বিশ্বের ১৯৩ টি দেশের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৯৯ সালের ১৭ ই নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩০ তম সাধারণ সম্মেলনে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ২০০০ সালের ২১শে ফেব্র“য়ারী থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। তাই তখন থেকে ইউনেস্কোর সদস্য ভ‚ক্ত পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষ এ দিবসটি পালন করছে। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন এবং বিশাল সম্মান বয়ে এনেছে। আমরা আজ ভাষা শহীদদের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল­াহ্র দরবাবে প্রার্থনা করব।
তাই আমরা এখন প্রত্যেকেই মনে মনে পাঠ করবোঃ
ক। সূরা ফাতিহা ০১ বার
খ। সূরা ইখলাস ০৩ বার
গ। দরুদ শরীফ ০১ বার
মোনাজাত
১।
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿البقرة: ٢٠١﴾
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ ﴿الأعراف: ٢٣﴾ 
২। হে আল­াহ্! ফজর সালাতের পর আমরা আপনার নিটক প্রার্থনা করছি। আমাদের সালাত, তিলাওয়াত, দোয়া-মোনাজাত এবং নেক আমল সমূহ কবুল করুন। এ অসিলায় আমাদের সকলের জীবনের গুনাহ গুলো মাফ করে দিন। এর যা সাওয়াব হয় তা অসংখ্য গুণ বৃদ্ধি করে দিয়ে আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ)-এর আরওয়াহ মোবারকে পৌছিয়ে দিন।

৩। তামাম বিশ্বের যত মুমিন-মুমিনাত ইন্তেকাল করেছেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যত সদস্য শাহাদত বরণ করেছেন সকলের আরওয়াহ মোবারকে এর সাওয়াব পৌছিয়ে দিন। বিশেষ করে যাদের আতœত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মাতৃভাষা ও স্বাধীনতা সেই সব বীর শহীদদের, আরওয়াহ মোবারকে এর সওয়াব পৌছিয়ে দিন।

৪। আয় আল­াহ্! যারা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় শহীদ হয়েছেন তাদেরকে শহীদের পরিপূর্ণ মর্যাদা দান করুণ। শান্তি ও সহমর্মিতার জন্য যারা লড়াই করে বেচে আছেন তাদেরকে সুন্দর জীবন ও সু-সাস্থ্য দান করুণ।

৫। আয় আল­াহ্! শহীদ পরিবার এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা যেন সাফল্যের সাথে দিনাতিপাত করতে পারে সেই ব্যবস্থা দান করুণ।

৬। আয় আল­াহ্! মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় আমাদের সবাইকে শান্তির পরশে থেকে দেশ ও মাতৃকার সেবা করার তাওফীক দান করুণ। জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা মিশনের কার্যক্রমে নিজেদের আন্তরিকতা, কর্তব্যনিষ্টা ও দক্ষতার মান বৃদ্ধি করার তাওফিক দান করুণ।

৭। আয় আল­াহ্! মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় যে কোন ধরণের হুমকির মোকাবিলায় দৃঢ়পদে অগ্রসর হওয়ার তাওফিক দান করুণ। আমাদের অকুতোভয় বীর সেনানীরা যেন সম্মান, মর্যাদা, দক্ষতা, আমানত ও সাফল্যের সাথে জাতি গঠনমূলক কাজে সর্বোপরি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম ও যুগ্যোতার সাথে নিজেদের ঐতিহ্যকে স্বমুন্নত রাখতে পারে সেই তাওফিক দান করুণ।

৮। আয় আল­াহ্! আমাদের প্রিয় দেশ ও জাতিকে একটি উন্নত দেশ ও জাতি হিসেবে পরিগণিত হওয়ার তৌফিক দান করুন।

৯। আয় আল­াহ্! আমাদের সবাইকে শারিরীক, মানসিক, সুস্থ্যতা। যাবতীয় ক্লান্তি, অবসাদ দূর। আমাদের সাহস, মনোবল বৃদ্ধি। যাবতীয় দূর্বলতা, ভিরুতা, অকল্যাণ, অমঙ্গল দূর। আমাদের পারদর্শীতা, উৎকর্ষতা, গতিশীলতা বৃদ্ধি। যাবতীয় বিপদাপদ, বালা-মসিবত, বাধা-বিপত্তি ও দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে হিফাযত করে দিন। আমাদের উপর আপনার খাছ রহমতের ছায়া বিস্তার করে দিন। আমিন!!


২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনাঃ
আজ ২৬ মার্চ। আমাদের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। স্বাধীনতা মানব জীবনে এক অমূল্য সম্পদ। যুগে যুগে বিভিন্ন দেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষও এর থেকে বাদ যায় নি। অনেক রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা লাভ করেছে। আত্মত্যাগের মহান অঙ্গীকার ও নবপ্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে আমরা প্রতি বছর এ দিনটি পালন করে থাকি।
২৬শে মার্চের পটভূমিঃ
স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আজ আমরা যে গৌরববোধ করি, এ গৌরব অর্জনের পেছনে রয়েছে বহু দিনের সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী এক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। একটু পেছনে তাকালে আমরা দেখতে পাই ১৯৪৭ সালে বৃটিশ শাসনের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে জাতি তত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান নামে দু’টি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র গঠিত হয়। কিন্তু স্বাধীনতার সুফল পায়নি বাঙ্গালীরা; বরং বাঙ্গালী জাতি পূর্বের ন্যায় শোষিত হতে থাকে। পশ্চিম পাকিস্তানের লোকজন বাঙ্গালিদের সাথে বিমাতা সুলভ আচরণ করতে থাকল। ফলে বাধাগ্রস্থ হলো এ দেশের উন্নয়ন। এ দেশের ভাষার উপর আঘাত হানা হলো। ফলে এ দেশের মেধাবী ছাত্ররা শহীন হন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, ভাষা আন্দোলনের মধ্যেই স্বাধীনাতর বীজ নিহিত ছিল। আন্দোলনর ধারাবাহিকতায় ১৯৬৭ সালের স্বাধীকার আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এ সবের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ট আসনে বাঙ্গালিদের বিজয় অর্জিত হলেও পাকিস্তানিরা জাতিয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করল না এবং বাঙ্গালিদের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করল না। এ সমস্ত কারণে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য উম্মুখ হয়ে থাকে। এরই মধ্যে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭-ই মার্চের ভাষণ এ দেশের মানুষকে স্বাধীনতার দিকে আরো উদ্বুদ্ধ করে তোলে। ২৫মার্চ রাতে পাকিস্তানিরা এ দেশের নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। তারপর দিনই ২৬ শে মার্চ ‘‘বাংলাদেশ নামে’’ এ দেশের স্বাধীনাত ঘোষণা করা হয়।

ঘোষণার পরপরই এ দেশের মুক্তিকামী ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, চাকুরীবি, পেশাজীবিসহ সকল শ্রেণীর মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারেননি, তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করেছে।
এ সময় জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়। এ দেশের অনেক সামরিক, আধামারিক বাহিনী ও পুলিশ এ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে শাহাদাত বরণ করেণ। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর। ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসে¤¦র পাকিস্তানি সৈন্যরা আত্মসমর্পন করে। তখন থেকেই আমরা ২৬ শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছি।
মূলতঃ এ দিবসটি আমাদেরকে স¥রণ করিয়ে দেয় গৌরব উজ্জল মুক্তি যুদ্ধের কথা। আর শিক্ষা দেয় অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করতে। আর অসংখ্য শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীন দেশ ও দেশের পতাকাকে ভালবাসতে এবং দেশের স্বাধীনাত রক্ষা করতে।
আজ আমরা সেই গৌরবময় মুক্তি যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান প্রভূর দরবারে দু’আ করব। আল­াহ্ তা‘আলা যেন আমাদের অর্জিত স্বাধীনতাকে মর্যাদার সাথে অক্ষুন্ন রাখেন এবং দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তৌফিক দেন। আমিন!!

মোনাজাত
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿البقرة: ٢٠١﴾
২। হে আল­াহ্, আমাদের তিলাওয়াত, দোয়া-মোনাজাত এবং নেক আমল সমূহ কবুল করুন। আমাদের কৃত নেক আমল সমূহের ছওয়াব বহুগুন বৃদ্ধি করে মহানবী (সাঃ) এর রওজা পাকে পৌছে দিন। যাদের আতœত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা সেই সব বীর শহীদদের আমলনামায় সওয়াব সমূহ পৌছে দিন।
৩। যারা স্বাধীনতার আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় শহীদ হয়েছেন তাদেরকে শহীদের পরিপূর্ণ মর্যাদা দান করুণ।
৪। শহীদগণের পরকালীন জীবনকে শান্তিময় করে দিন। তাঁদের ভুল ত্র“টি মাফ করে সকলকে চির শান্তির জান্নতুল ফিরদাউস দান করুন।
৫। হে দয়াময় আল­াহ্, শহীদ পরিবার এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের হেফাজত করুন। সকলকে সর্বদা সবর করার তওফিক দান করুন।
৬। শান্তি ও সহমর্মিতার জন্য যারা লড়াই করে বেচে আছেন তাদেরকে সুন্দর জীবন ও সু-সাস্থ্য দান করুণ।
৭। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে সার্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধি দান করুন এবং আমাদের দেশকে ও দেশবাসীকে হিফাজত করুন।
৮। ইয়া রহমানুর রহীম, দেশে-বিদেশে কর্মরত ও নিয়োজিত বাংলাদেশ সশˉ¿  বাহিনীর সকল সদস্যগণের জান-মালের হিফাজত করুন।
৯। মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় আমাদের সবাইকে শান্তির পরশে থেকে দেশ ও মাতৃকার সেবা করার তাওফীক দান করুণ।
১০। দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে জাতি গঠণ মূলক কাজে সর্বোপরি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সশস্ত্র বাহিনী যেন সুনাম ও যুগ্যোতার সাথে কাজ করতে পারে সেই তাওফিক দান করুণ।
আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন। আমিন
বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।


জাতীয় পতাকা প্রদান প্যারেডের দু’আ
ইনশাআল­াহ, হে মহান রাব্বুল আলামিন আপনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ইষ্ট বেংগল রেজিমেন্টের উপর অশেষ রহমত নাযিল করুন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই ইসলামের পতাকা ব্যবহার করেছেন।
সেই গৌরবময় প্রথা অনুস¥রণে আজ আমরা যে পতাকা অর্জন করছি তার সম্মান ও গৌরব অক্ষুন্ন রাখার তৌফিক দান করুন।
সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও সেই পতাকা ধারণ করে রাখার তৌফিক দান করুন।
অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্র“র অশুভ চক্রান্ত হতে সেনাবাহিনী তথা দেশ ও জাতিকে হিফাজত করুন। আমিন!!

৭ ই নভে¤¦র ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’
১। আজ ৭ ই নভে¤¦র ÑÑÑÑÑÑÑÑ সাল। মহান ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ আজ।
২। বাংলাদেশের ইতিহাসে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বরনীয় একটি দিন ৭ ই নভে¤¦র। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যগণ সর্বস্তরের জনগণকে সংগে নিয়ে এক অবিস্বরনীয় জাতীয় ঐক্য সুসংহত ও সুদৃঢ় করেছিল। সেনাবাহিনীসহ দেশের আপমর জনসাধারণ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এক সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছিল এই দিনে।
৩। এই মহান দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার জ্য জাতীয় স্বাথৃ, জাতীয় প্রয়োজনে, ঐক্য ও সংহতির অসামান্য দৃষ্টান্ত স্থাপনই আমাদের একমাত্র কাম্য।
৪। এই মহান দিবসে আমরা, দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় আত্ম উৎসর্গকারী বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও চিরশান্তি কামনা করে মহান আল­াহ্ রব্বুল ‘আলামিনের দরবারে প্রার্থনা করবো।

    ২১ শে নভে¤¦র ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’
১। আজ ২১ শে নভে¤¦র -----------সাল। আমাদের মহান  ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ আজ।
২। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ২১ শে নভে¤¦র একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য মন্ডিত দিন।
৩। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষনার মধ্য দিয়ে এদেশের মুক্তিকামী আপামর জনসাধারনের সাথে আমাদের অকুতোভয় বীর সেনানীরা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ন’মাস ব্যাপী সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের তিন বাহিনীর বীর সেনানীরা জল, স্থল এবং অন্তরীক্ষে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমন রচনা করে। এ সফল পরিণতিতে মাত্র ১ মাসেরও কম সময়ে দলখদার বাহিনীর হাত হতে মুক্ত হয়ে এদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্ররূপে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান লাভ করে।

৪। এই বিশেষ দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করবো বাংলাদেশ সেনাবহিনী তথা সশস্ত্রবাহিনীর ঐ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের আপামর মুক্তিকামী জনগণ যারা মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করেছেন এবং আমাদের স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছেন। বীরত্বপূর্ণ ইতিহাসের ধারক ও বাহক বীর সেনানীদের ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জল ঘটনাবহুল এই দিন নতুন প্রজম্মের সেনানীদেরকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আদশ্যে উজ্জীবিত করুক।
৫। এই মহান দিবসে আমরা সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও চিরশান্তি কামনা করে মহান আল­াহ্ রব্বুল ‘আলামীনের দরবারে প্রার্থনা করবো।     
মোনাজাত
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿البقرة: ٢٠١﴾
২। হে আল­াহ্, আমাদের তিলাওয়াত, দোয়া-মোনাজাত এবং নেক আমল সমূহ কবুল করুন। আমাদের কৃত নেক আমল সমূহের ছওয়াব বহুগুন বৃদ্ধি করে মহানবী (সাঃ) এর রওজা পাকে পৌছে দিন। যাদের আতœত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা সেই সব বীর শহীদদের আমলনামায় সওয়াব সমূহ পৌছে দিন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনী এবং সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা ও জনগনের শ্রমকে কবুল করুণ। ৩। যারা স্বাধীনতার আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় শহীদ হয়েছেন তাদেরকে শহীদের পরিপূর্ণ মর্যাদা দান করুণ।

৪। শহীদগণের পরকালীন জীবনকে শান্তিময় করে দিন। তাঁদের ভুল ত্র“টি মাফ করে সকলকে চির শান্তির স্থান ‘জান্নতুল ফিরদাউস’ দান করুন।
৫। হে দয়াময় আল­াহ্, শহীদ পরিবার এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের হেফাজত করুন। সকলকে সর্বদা উত্তম ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন।
৬। শান্তি ও সহমর্মিতার জন্য যারা লড়াই করে বেচে আছেন তাদেরকে সুন্দর জীবন ও সু-সাস্থ্য দান করুণ।
৭। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে সার্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধি দান করুন এবং আমাদের দেশকে ও দেশবাসীকে হিফাজত করুন।

৮। ইয়া রহমানুর রহীম, দেশে-বিদেশে কর্মরত ও নিয়োজিত বাংলাদেশ সশˉ¿  বাহিনীর সকল সদস্যগণের জান-মালের হিফাজত করুন।
৯। মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষায় আমাদের সবাইকে শান্তির পরশে থেকে দেশ ও মাতৃকার সেবা করার তাওফীক দান করুণ।
১০। দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে জাতি গঠণ মূলক কাজে সর্বোপরি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সশস্ত্র বাহিনী যেন সুনাম ও যুগ্যোতার সাথে কাজ করতে পারে সেই তাওফিক দান করুণ।
আমাদের অকুতোভয় সেনানীরা যেন নিজেদের ঐতিহ্যকে আরো স্বমুন্নত রাখতে পারে সেই তাওফিক দান করুণ।

আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন। আমিন
বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।


এই ক্লাসটি পিডিএফ ডাউনলোড করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন 

No comments:

Post a Comment